Hot Posts

6/recent/ticker-posts

আমাকে হয়রানি করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার হচ্ছে: টিউলিপ

যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি ও সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’ টিউলিপ সিদ্দিক বলেছেন, তাকে হয়রানি করতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। দুদকের করা একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এ অভিযোগ করেন তিনি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর শেখ হাসিনার শাসনামলের নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ বড় পরিসরে তদন্ত শুরু করে দুদক। তার অংশ হিসেবে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করছে সংস্থাটি। যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের হ্যাম্পস্টিড অ্যান্ড হাইগেট আসনের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার পর আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘সিটি মিনিস্টার’–এর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগের মামলায় দুদকের অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে রবিবার (১৩ এপ্রিল) টিউলিপ সিদ্দিক, শেখ হাসিনাসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার একটি আদালত। সোমবার (১৪ এপ্রিল) গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে লন্ডনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন টিউলিপ সিদ্দিক। জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষগুলোর কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। পুরোটা সময় তারা মিডিয়া ট্রায়াল চালিয়েছে। আমার আইনজীবীরা উদ্যোগী হয়ে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছিলেন। তবে তারা কখনো এর জবাব দেয়নি। টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, আমি নিশ্চিত, আপনারা বুঝবেন যে এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারকে কোনো প্রসঙ্গ বা মন্তব্যের মাধ্যমে আমি বিশেষ গুরুত্ব দিতে পারি না। এটি পুরোপুরি আমাকে হয়রানি করার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। এমন কোনো প্রমাণ নেই যে আমি ভুল কিছু করেছি। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় আনতে তাকে প্রত্যর্পণের জন্য এক দেশ আরেক দেশের কাছে আবেদন করতে পারে। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ ‘২বি’ প্রত্যর্পণ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত। এর অর্থ প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তের জন্য যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী ও বিচারকদের সামনে অবশ্যই স্পষ্ট প্রমাণ তুলে ধরতে হবে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের একজন মুখপাত্র জানান, তিনি একক ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করবেন না। আর রবিবার টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীরা বলেছেন, দুদক বিগত কয়েক মাসে গণমাধ্যমের মাধ্যমে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনেছে। বিবিসির নজরে আসা এক বিবৃতিতে টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবী স্টিফেনসন হারউড বলেছেন, অভিযোগগুলো পুরোপুরি মিথ্যা এবং টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীরা সেগুলো লিখিতভাবে মোকাবিলা করছেন। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে অবকাঠামো প্রকল্প থেকে ৩৯০ কোটি পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দুদক। এ তদন্ত করা হচ্ছে ববি হাজ্জাজ নামে একজনের ধারাবাহিক অভিযোগের ভিত্তিতে, যিনি শেখ হাসিনার বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের সদস্য। বিবিসির নজরে আসা আদালতের নথি অনুযায়ী, ববি হাজ্জাজ অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তিতে মধ্যস্থতায় সহায়তা করেন টিউলিপ সিদ্দিক। ওই চুক্তিতে বাংলাদেশে একটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ব্যয় বাড়িয়ে দেখানো হয়েছিল। দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এর আগে বিবিসিকে বলেছিলেন, অভিযোগগুলোয় কোনোভাবেই কাউকে নিশানা করে করা হয়নি এবং সেগুলো ভিত্তিহীন নয়। দুর্নীতির দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে। দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশের আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকা ঠিক হবে না। আমি টিউলিপ সিদ্দিককে (বাংলাদেশে) এসে সম্ভাব্য সবচেয়ে ভালো আইনি সহায়তা নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য স্বাগত জানাব। আমারবাঙলা/এমআরইউ

from Amarbangla Feed https://ift.tt/nTHhgMC

Post a Comment

0 Comments